• Breaking News

    House Of Al Towfiqi Promote By, ☮️ #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার || عائلة التوفيقي || eayilat altawfiqi Welfare Elm Leaders Friend Towfiqi Investigation Organization Network. {WELFTION} 🔍 Welftion / وعلفسن / ওয়েলফশন

    অনুসরণকারী

    বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

    পূর্বাহ্নে সূর্যাদয়ের সময় এখনো অনেকটা বাকি

    সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক...

    সোনালি সন্ধ্যা 





    পূর্বাহ্নে সূর্যাদয়ের সময় এখনো অনেকটা বাকি। সবে বোষ্টামির ভগ্ন গলায় তুলসীদেবীর আরাধনা। সাথে দুই হাতের তালুর একত্রিত মেলবন্ধন যেন পঞ্চ ইন্দ্রিয় একই কথা বলে। ঘণ্টার শুদ্ধস্বরে তারা বেরিয়ে পড়ে। পায়ে হিমানীর পরশ মেখে শুভ্র চাদরে নিজেকে জড়িয়ে আধ-ঘুমাবস্থায় ক্লান্তিনগ্ন শরীরে পাথারের আঙ্গিনায় রঙিন স্বপ্নের জাল বুনে।চারিদিক এতটাই নির্মল যে তাদের সাঙ্গপানে চেয়ে আছে।এ মাসটাই যে দামোদর মাস।সুস্থ মস্তকে সুহৃদে আত্মগোপনে জয়োল্লাসের ঢাক বাজে।তারা আশাবাদী হাঁটু ভেঙ্গে পরিশ্রমের পানে চেয়ে। কাস্তের ঘচাঘচ শব্দে হৃদযন্ত্রের কম্পন খানিকটা বেড়েই চলেছে । দীর্ঘ নিশ্বাসে মেরুদণ্ড সোজা করে ফসল মাঠের শেষ প্রান্তে করুণাময় চোখে তাকিয়ে বলে, আর কত দূর? আতরহীন শরীরে চারদিকে ঘর্মাক্ত বাতাস বইতে থাকে।মস্তকের কালো চুলের ছিদ্র পথে ভোরের শিশির জমতে জমতে মুখে লবণাক্তের স্বাদ।তৃষাতুর অজিত জলের আকুতি করে। ইতোমধ্যে সূর্যের তীর্যক কিরণে আলোর ছটায় আফছা দেখতে পায় ছয় বছরের মেয়ে প্রাপ্তি। মাথায় গামছা বাধা ছোটো গামলা, হাতে জলের পাত্র সহসা বলে উঠলো, বাবা পন্তা এনেছি! খেয়ে যাও। অবসন্ন অজিত সযত্নে কাস্তে রেখে কোমরের বাধা গামছা খুলে মুখ মুছতে মুছতে স্নেহময়ী তরুতলে আসে।উষ্ণ ঠোঁটে শীতল কপোলে চুমু বসিয়ে বলে, আয় রে মা এখানে বস। পাকযন্ত্র পন্তাপুষ্ঠ করে নিমিষে জিরিয়ে নেয়। কাগজে তামাকের চুর মুড়িয়ে দিয়াশলাই এর ঘর্ষিত অগ্নি নাসায় লাগিয়ে দীর্ঘ এক টান।বড়োই তৃপ্তির নেশা। নাসারন্ধ্রে ধোঁয়া ছেড়ে,ফুঁ দিয়ে আকাশে তুলে। হালকা রোদে মৃদু সমীরণে ধানের ডগায় ছন্দহীন তালে ধান কাটার সমাপ্তি করে।অন্তহীন নীল আকাশের পানে চেয়ে খড়সহ ধান উঠানে তুলতে ব্যস্ত থাকে।আঁটি বাধা খড়ের বোঝা মাথায় চাপিয়ে নদীর তীরের ছোট্টো নৌকায় ভীড় জমায়। মল্লিকার গন্ধে গন্ধে পালতোলা নৌকায় পালে যখন সোনালি বর্ণের সূর্য ডুবতে থাকে তখন লক্ষ্মীর আগমন ঘটে। ধবল বকের ফেরার সাথে কৃষকের মুখে হেমন্তের নবান্নের স্বাদ জাগে।উঠানে লাল ঝুটি মোরগের কক কক শব্দে সোনালি ফসল ঘরে তুলে। চারিদিকে শ্বেত চাদরে অন্ধকার ঘনীভূত হতে থাকে। শত হতাশার ছাপ মুছে রজন দা সোনালি ফসল জড়িয়ে ধরে সন্ধ্যা উপভোগ করে।নিরবে বিরবিরিরে বলে,এবার মঙ্গা কাটবে। 


    নাম : বসুদেব রায়,শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম রাবি শাখা। 

    ই-মেইল :basu3dev3@gmail.com


    কোন মন্তব্য নেই:

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Fashion

    Beauty

    Travel